সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ অক্টোবর শনিবার বিকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে জেলা সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন ফারুকী, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা উদীচীর সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাছুমা আক্তার, ক্যাব সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু ও পৌর কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলি বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, সরকার শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার দিচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানি নিরসনে অনলাইন সেবা পদ্ধতি প্রবর্তন করছে। অর্থাৎ, দুর্নীতি নিরসনে এবং সেবাদান প্রক্রিয়াকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। অনেক উপকারভোগীর মাসিক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সেবার জন্য অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এমনকি নামজারিসহ ভূমি সেবার ক্ষেত্রেও অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। ফলে এসব খাতে দুর্নীতি, দীর্ঘসূত্রিতা এবং হয়রানি অনেক কমে এসেছে। তবে কেবল আইন করে বা ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে শতভাগ শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলে বক্তাগণ উল্লেখ করে বলেন, এর জন্য শৈশব থেকেই পরিবারগুলোতে শুদ্ধাচারের তালিম দিতে হবে। স্কুলে, কলেজে শুদ্ধাচার শেখাতে হবে। ব্যক্তিদেরকে শুদ্ধ চরিত্র ধারণ করতে হবে। তবেই দেশে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা পাবে বলে বক্তাগণ মনে করেন।